করোসোল পাতার উপকারিতা। ক্যান্সার প্রতিরোধে কার্যকরী বিস্ময়কর ওষুধ

করোসোল পাতার উপকারিতা সম্পর্কে অনেকেই আমরা জানি না। করোসোল পাতাকে ক্যান্সার রোগের প্রতিরোধক বলা হয়। ক্যান্সার শব্দটা শুনলে ভয়ে আতকে ওঠার জন্য যথেষ্ট। ক্যান্সার নির্দিষ্ট কোন কারণে হয় না। চিকিৎসকদের ভাষায় এটি একটি মাল্টি ফ্যাক্টরিয়াল ডিজিজ। 

করোসোল-পাতার-উপকারিতা

যা অতিরিক্ত মসলাদার খাবার, অতিরিক্ত বাইরের খাবার, অতিরিক্ত চিনি ও ময়দা খেলে ক্যান্সার হওয়ার অন্যতম কারণ। চিকিৎসা বিজ্ঞানীগণ ক্যান্সারের ঝুকি এড়াতে করোসোল গাছের পাতা দিয়ে চিকিৎসা করে কার্যকরী ও বিস্ময়কর আশার আলো দেখাচ্ছেন। তাই আসুন আমর ক্যান্সার প্রতিরোধে কার্যকরী করোসোল পাতার বিস্ময়কর ঔষধি গুন সম্পর্কে জানি।

পোস্ট সূচিপত্রঃ ক্যান্সার রোগের প্রাকৃতিক কেমোথেরাপি করোসোল পাতা।

করোসোল পাতার উপকারিতা

করোসোল পাতার উপকারিতা সম্পর্কে আমাদের সবার ধারণা থাকা উচিত। করোসল ফল পাতায় এমন এক ঔষধি গুণ রয়েছে। যা ভাষায় বলে শেষ করা যাবে না।করোসোল ফল কেমোথেরাপীর চেয়ে ১০ হাজার গুন শক্তিশালী। জানলে অবাক হবেন, করোসল ফল ও পাতায় কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই। বিজ্ঞানীগণ এ গাছের নাম রেখেছেন অ্যানোনা মিউরিকাটা। 

আরো পড়ুনঃ চোখ উঠার লক্ষন সম্পর্কে জানুন

অনেকে আবার এই ফলটাকে টকা তা বলে জানে। মিউরিকা গোত্রের লোকেরা এই ফলটাকে অনেক ক্ষেত্রেই কেমোথেরাপির কাজ করে থাকে। তাছাড়া ক্যান্সার প্রতিষেধক হিসেবে এর ফলের পক্ষে অনেক বিশেষজ্ঞদের হ্যা সূচক মতামত পাওয়া যায়। ্করোসোল ফলকে ক্যান্সার প্রতিরোধক বলা হয়।

শুধু ফলই নয়, এই গাছের পাতা ও ছাল লিভার সমস্যা, প্রোটেস্টের সমস্যা, আর্থরাইটিস সমস্যার নিরাময় করে থাকে। এই ফল খেলে ক্যান্সার রোগীকে থেরাপি দেওয়ার প্রয়োজন পড়ে না। করোসোল ফল বহু গুনে্র সমন্বয়ক একটি ফল। এর ফলে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে ভিটামিন এ, ভিটামিন বি এবং ভিটামিন সি আছে। 

তাছাড়াও বিভিন্ন ধরনের খনিজ পদার্থ সমৃদ্ধ এ করসল ফল আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।করোসোল ফলকে এন্টি ক্যান্সার হিসেবে বিবেচনা করা হয়। করোসোল পাতার উপকারিতা পৃথিবীর বহু দেশে প্রমাণিত। কিন্তু করোসোল ফলের চেয়ে করোসোল পাতার উপকারিতা অনেক গুন বেশি নিচে করোসোল পাতার উপকারিতা আলোচনা করা হলো-

  • করোসোল পাতা কিডনি, ক্যান্সর, হার্ট ও লিভার পরিষ্কার করতে সাহায্য করে।
  • করোসোল গাছের ফল, পাতা এবং গাছের ছাল সবই উপকারী।
  • করোসোল পাতার উপকারিতা জেনে অনেক মানুষ তাদের খাদ্য তালিকায় যুক্ত করছেন।
  • করোসোল ফল ও পাতা কোনটারই পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই।
  • ক্যান্সার রোগীকে কেমোথেরাপি দিলে মাথার চুল পড়ে যায়, কিন্তু করোসোল পাতা ও ফল খেলে রোগীর চুল পড়ে যায় না।
  • করোসোল ফল ও পাতা ওষুধের চেয়ে অনেক গুণ কম ও সাশ্রয়ী মূল্যে পাওয়া যায়।
  • করোসোল ফল কেমোথেরাপির বিকল্প এক মহাঔষধ।
  • ক্যানসার নিরাময়ে করোসোলের কার্যকারিতা অনেকগুন বেশি।

করোসোল ফলের উপকারিতা

করোসোল ফলের উপকারিতা সম্পর্কে সবার ধারণা থাকা উচিত। করোসোল ফল খাবারের ফলে ক্যান্সারের কোষের বিরুদ্ধে লড়াই করে। ক্যান্সারের কোষগুলোকে আর বাড়তে দেয় না। করোসোল ফল শুধু ক্যান্সারের কোষগুলোকে ধরে না বরং কিডনি, হার্ট ও লিভার পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। 

আরো পড়ুনঃ দাতের রুট ক্যানেলের খরচ কত?

শুধু কররোসো ফলই উপকারি নয়, বরং এর পাতা এবং গাছের ছাল ও বেশ উপকার আনে। করোসোল ফল কেমোথেরাপির বিকল্প হিসেবে কাজ করে। কেমো থেরাপি দিলে রোগীর মাথার চুল পড়ে যায় কিন্তু করোসোল ফল ও করোসোল গাছের পাতা খাওয়ার ফলে মাথার চুল পড়ে না। করোসোল ফলের ক্যানসার প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক বেশি। 

তাই আজ কাল অভিজাত শ্রেণীর মানুষ তাদের খাদ্য তালিকায় রাখতে শুরু করেছেন। করোসোল ফলে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন বি-১, ভিটামিন বি-২ এবং ভিটামিন সি রয়েছে।করোসোল ফল খাবারের ফলে আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করবে।করোসোল ফলের উপকারের কথা বিশ্বের বহু দেশে প্রমাণিত।

করোসোল গাছ কোথায় পাওয়া যায়?

করোসোল গাছ কোথায় পাওয়া যায়? একথা আমরা অনেকেই জানিনা। বন্ধুরা আপনারা যদি করোসোল গাছ কোথায় পাওয়া যায় এ কথা জানতে চান তাহলে আমার আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।করোসোল হচ্ছে মিউরিকাটা গোত্রের একটি ফল। এই ফলটি দিয়ে তারা অনেক ক্ষেত্রেই কেমোথেরাপি দিয়ে থাকে। 

দক্ষিণ আমেরিকার আমাজন নদীর উপত্যকায় করোসোল প্রচুর পরিমাণে জন্মায়। তাছাড়া ব্রাজিল, আফ্রিকা, চায়না ও অস্ট্রেলিয়া সহ বিভিন্ন দেশে এই করোসোল ফল জন্মায়। বাংলাদেশে ও এ ফলের গাছ পরীক্ষামূলকভাবে চাষাবাদ শুরু হয়ে গেছে। ময়মনসিংহে ত্রিশালে এক নতুন চাষী করোসোল ফল চাষ করে নতুন আয়ের উৎস দেখাচ্ছে।

আরো পড়ুনঃ চোখ উঠা রোগ ঘরোয়া উপায়ে মুক্তি মেলে যেভাবে

করোসোল গাছে অ্যানোনিয়াস অ্যাস্টোজেনিন নামক  এপ্রকারের যৌগ আছে। যা ক্যান্সার কোষের বিরুদ্ধে লড়াই করে ক্যান্সারের কোষের বৃদ্ধি রুখে দেয়। যার ফলে ক্যান্সারের কোষ আর পারে না।ক্যান্সারের রোগীরা যদি নিয়মিত এ ফল খেয়ে থাকেন। তাহলে শরীরের রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা অনেকটাই বেড়ে যাবে। এই ফল আপনার শরীরের রক্তকে শোধিত করে এবং নতুন রক্ত সঞ্চালন করতে সাহায্য করে।

করোসোল ফল চাষের উপযোগী মাটি

করোসোল ফল চাষের উপযোগী মাটি সম্পর্কে অনেকে আমরা জানি না। চলুন আমরা করোসোল ফল চাষের উপযোগী মাটি সম্পর্কে জেনে নিন।করোসোল ফলের জন্য ৫-৬.৫ মাত্রার মাটি সবচেয়ে উপযোগী বলে মনে করা হয়। এই মাটিতে নিষ্কাশনের ব্যবস্থা ভালো থাকতে হবে। পানি জমে থাকলে করোসোল গাছ চাষে ব্যহত হয়। 

এই ফল চাষের জন্য বেলে মাটিকে সবচেয়ে উপযুক্ত হিসেবে বিবেচনা করা হয়।করোসোল গাছটির উচ্চতা ২৫ থেকে ৩০ ফুট হয়ে থাকে। এছাড়া এর শাখা প্রশাখা খুবই স্বল্প দেখা যায়। এরপর দিকে আমরা আতা ফলের মত খেয়ে থাকি। তাছাড়া পানীয় এবং শরবত হিসেবেও অতুলনীয়। উল্লেখযোগ্য এই ফলটিতে ভিটামিন, ভিটামিন বি-১, ভিটামিন বি-২ পাওয়া যায়।

বাংলাদেশে করোসোল চারা উৎপাদনের ঘটনা

বাংলাদেশে করোসোলের চারা উৎপাদনের ঘটনা নিয়ে ময়মনসিংহের ত্রিশালের চাষী রফিকুল ইসলামের মাল্টার বাগান দেখতে আসেন এক আমেরিকান প্রবাসী। তিনি মাল্টার বাগান পরিদর্শন করে তাকে করোসোল এবং ট্যাং ফলের চারা উপহার দেন। সে থেকে এ গাছ হয়েছে। বর্তমানে এই চাষীর বাগানে ছোট বড় অনেক করোসোল এবং ট্যাং গাছ আছে। 

বাংলাদেশে-করোসোল-চারা-উৎপাদনের-ঘটনা

তার বাগানে এখন ছোট বড় অনেক করোসল ফল আছে। এছাড়াও তার বাগানে ট্যাং ফল আসতে শুরু করছে। ট্যাং ফল খেতে অনেক সুস্বাদু। আসুন আমরা সবাই ক্যান্সার রোগের প্রাকৃতিক কেমিওথেরাপি হিসেবে করোসোল গাছের চাষে উদ্যোগ গ্রহণ করি।

করোসোল পাতা সম্পর্কে ক্যান্সার রোগী গাজী আশরাফের বক্তব্য

ময়মনসিং জেলার করোসোল চাষী গাজী আশরাফ আলী বলেন-২০২০ সালে তার ক্যান্সার ধরা পড়ে। বয়সের তুলনায় তাকে কেমোথেরাপি দিতে চান না চিকিৎসকরা। ক্যান্সার এর চিকিৎসা করা সত্ত্বেও তিনি দিন দিন দুর্বল হয়ে পড়েন। একসময় পরিবারের সদস্যরা সিদ্ধান্ত নেন, তাকে আর চিকিৎসা করাবেন না। পরে এর বিকল্প হিসেবে করোসোল পাতার রস খাওয়া শুরু করেন।

গাজী আশরাফ আলী বলেন কৌশল ফল আমাদের দেশে পাওয়া দুষ্প্রাপ্য। তাই তিনি করোসোল পাতার রস খেতে শুরু করেন। প্রতিদিন তিন বেলা খেলে কিছুদিন পর তিনি আর সহ্য করতে পারেন না। তাই তিনি ক্রমান্বয়ে দুইবার থেকে কমিয়ে একবার খেতে শুরু করেন। এই করোসোল পাতাকে তিনি পানি দিয়ে জ্বালিয়ে চায়ের মত করে খেতে থাকেন। একপর্যায়ে তিনি সুস্থ হয়ে যান।

আরো পড়ুনঃ দাতের রুট ক্যানেল এর উপকারিতা কি?

তিনি আরো বলেন, শুধু আমি নই, আমার কাছ থেকে আরও কয়েকজন ক্যান্সার রোগী এসে পাতা নিয়ে যান। বর্তমানে তারা এখন ভালো আছেন। সাতক্ষীরার চাষী গাজী আশরাফ আলী বলেন। করোসোল ফল ও পাতা খুব উপকারী। তবে তিনি করসর পাতাকে পরিমিত খাওয়ার পরামর্শ দেন। গাজী আশরাফ আলী বলেন, করসল ফল নিয়ে বড় আকারের গবেষণা হওয়ার দরকার। কারণ করোসোল ফলের ক্যান্সার প্রতিরোধে ভূমিকা সবার কাছে তুলে ধরা অতি প্রয়োজন।

করোসোল ফল দেখতে কেমন?

করোসোল ফল দেখতে কেমন আমরা অনেকে জানিনা। চলুন করোসোল ফল দেখতে কেমন সে সম্পর্কে জেনে আসি।করোসোল ফল দেখতে অনেকটি কাঠালের মতো কাটাযুক্ত সবুজ রংগের। এই গাছের সবুজ পাতার ফাঁকে হলুদ রঙের ফুল ফোটে। ফুল ফোটার পর তিনটি লাভ আকৃতির পাপড়ি পড়ে গিয়ে ভেতর থেকে করসল ফল বের হয়। 

ছোট মাঝারি ও বড় সাইজের করোসোল ফল হতে দেখা যায়। এটা দেখতে গাড় সবুজ রঙ্গের,গায়ে ছোট ছোট কাটা আছে। এই ফলের ওজন সর্বনিম্ন ৪০০ গ্রাম থেকে সর্বোচ্চ ১ কেজি পর্যন্ত হয়। কোরসল ফল আতা ফলের মত খাওয়া যায়। তাছাড়া এর পাতা পানিতে চুবিয়ে কিংবা পাতা বেটে রস করে ক্যান্সার রোগীকে খাওয়াতে পারলে ক্যান্সার আক্রান্ত রোগ ভালো হয়ে যায়। 

আমাদের মাঝে অনেকেই আছেন, যারা রোগ প্রতিশোধক হিসেবে করোসোল পাতার চা খেয়ে থাকেন।

বিদেশি বাজারে কেন করোসোল ফলের চাহিদা বেশি?

বিদেশি বাজারে কেন করোসোল হলের চাহিদা বেশি? এ কথা অনেকেই জানতে চান। এর ফলের মাঝে আছে অনেক ঔষধি গুণ। ক্যান্সার নামক ভয়ানক রোগের প্রতিষেধক হিসেবে এ গাছের ফল ও পাতা ব্যবহার করা হয়। এই গাছের ফলের চেয়ে পাতা বেশি উপকারী। করোসোল পাতার উপকারিতা জানলে চমকে যাবেন। 

এই গাছের পাতা রোগের প্রাকৃতিক কেমিথেরাপি হিসেবে ব্যবহার করা হয়। ক্যান্সার রোগীকে করোসোল পাতা খাওয়ালে আর থেরাপি দিতে হয় না। করোসোল ফল কিডনি, হার্ট, ক্যান্সার ও লিভার পরিষ্কার করার জন্য বিশেষ উপকারী। এ গাছের পাতা ও ফল সারা বিশ্বে এখন ভালো দামে বেচাকেনা করা হয়। করোসোল ফল ও পাতা খেলে ক্যান্সার রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

করোসোল ফলের ব্যাপক চাহিদার কারণে এর চাষাবাদ বৃদ্ধি করা দরকার। তাহলে ক্যান্সার রোগীর কেমোথেরাপির জন্য বিপুল পরিমাণে অর্থ বের করতে হবে না। এজন্য এই ভেজষ করোসোল ঔষধ গাছটি দেশ-বিদেশে চাহিদা অনেক বেশি।

করোসোল পাতা খাওয়ার নিয়ম

করোসোল পাতা খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে ক্যান্সার রোগী আশরাফ আলী বলেন আমি করসল পাতার রস পান করা শুরু করি। কারণ আমাদের দেশে করোসোল ফল পাওয়া দুষ্পাপ্য। তাই তিনি করোসোল পাতা পানি দিয়ে জ্বালিয়ে  চায়ের মতন করে খেতেন। তাই করোসোল পাতা খাওয়ার নিয়ম হলো, দিনে তিনবার করোসোল পাতা পানি দিয়ে জ্বালিয়ে চায়ের মতো করে খাওয়া। 

আরো পড়ুনঃ শীতকালিন সময়ে চোখ উঠার ১০ টি কারণ

করোসোল ফল, পাতা ও বাকল সবই উপকারী।করোসোল ফল দেখতে ঘন সবুজ এবং কাঁটাযুক্ত। অনেকেই এই ফলকে টকা আতা নামেও চিনেন। তাছাড়া স্থানভেদে অনেকেই লক্ষণ ফল, গ্রাভিওয়ালা বা গায়োবানো নামেও পরিচিত। করোসোল ফল খেলে ক্যান্সার নামক ভয়াবহ রোগ থেকে মুক্তি মিলে,হার্ট ভালো থাকেও লিভার পরিস্কার রাখে।

করোসোল ফল বাংলাদেশের কোথায় পাওয়া যায়?

করোসোল ফল বাংলাদেশের কোথায় পাওয়া যায়? অনেকেই জানেনা। চলুন জেনে আসি করোসোল ফল বাংলাদেশের কোথায় কোথায় পাওয়া যায়। করোসোল ফল বাংলাদেশের ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, ময়মনসিং, খুলনা সহ বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় পাওয়া যায়। বাংলাদেশের ঢাকা বিভাগের ফুলবাড়িয়া ও চাঁদপুর জেলায় করোসোলের পাতা সংগ্রহের বেশ ভিড় দেখা যায়। 

এছাড়া চাঁদপুরের শহরতলী এলাকায় হেলাল উদ্দিনের ফ্রুটস ভ্যালি এগ্রো প্রকল্পে করোসোল গাছ দেখা যায়। ময়মনসিং জেলার ত্রিশালের চাষী গাজী আশরাফ আলী নিজে এ ফল চাষ করেন। চুয়াডাংগা জেলার জীবন নগর থেকে মোঃ সজল।যার মোবাইল নম্বর+8801910-928212 তিনি মূলত বাংলাদেশের সব জায়গাতে কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে বিক্রি করে থাকেন।

করোসোল পাতার দাম কত?

করোসোল পাতার দাম কত? অনেকেই আমরা করোসোল পাতার দাম জানিনা। তো বন্ধুরা আসুন আজকে আপনারা করসল পাতার দাম সম্পর্কে জেনে নিন। বেশ কিছুদিন আগে করোসোল গাছের চাহিদা তেমন বেশি ছিল না। তখন প্রতিটি চারা ৫০ থেকে ১০০ টাকা মূল্যে পাওয়া যেত। কিন্তু বর্তমানে এখন চাহিদা বাড়ার সাথে সাথে গাছের দাম বেড়ে গেছে। 

করোসোল-পাতার-দাম-কত?

ছোট বড় পরিমাণ ভেদে এই গাছ ৫০০ টাকা থেকে শুরু করে ৭০০ টাকা এবং ১ হাজার টাকা মূল্যেও বিক্রয় করা হয় বলে জানা গেছে। চুয়াডাঙ্গা জীবননগর ১ চাষের কাছ থেকে জানা যায় তিনি পাতা সারাদেশে ডেলিভারি দিয়ে থাকেন। তার কাছে অনেক ধরনের পাতা আছে বলে জানা যায়। তিনি বলেন আফ্রিকান করোসোল পাতা অনেক ভালো। 

প্রতি কেজি পাতার মূল্য ৪ হাজার টাকা। কিছুদিন পূর্বে ১০০০ টাকায় কেজি মূল্যে ডেলিভারি দিয়েছিলেন। কিন্তু এখন পাতার সংকট থাকায় এবং মানুষের চাহিদা বাড়ার সাথে পাতার মূল্য ৪ হাজার টাকা হয়েছে।

লেখকের শেষ কথা

করোসল পাতার উপকারিতা আলোচনা করতে গিয়ে করোসোল ফল এবং করোসোল গাছের বাকোলের উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।করোসোল ফলের চেয়ে পাতার গুনাগুন বেশি। সে সম্পর্কেও আলোচনা করা হয়েছে। আশা করি বন্ধুরা, আপনারা যদি আমার আর্টিকেলটি পুরোপুরি পড়ে থাকেন, তাহলে নিশ্চয়ই আপনি করসোল সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। 

আমার লেখা আর্টিকেল পড়ে যদি আপনি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে এ ধরনের তথ্যবহুল আর্টিকেল পেতে নির্মিত আমার ওয়েবসাইট করুন। আপনার দেওয়া উৎসাহ নিয়ে নতুন নতুন তথ্যবহুল আর্টিকেল লিখতে বাধ্য থাকব। বন্ধুরা আমার লেখা আর্টিকেলের মাধ্যমে যদি ভুল ত্রুটি হয়ে থাকে এবং কোন কারনে আপনাদের কষ্ট দিয়ে থাকি, তবে আমাকে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। এতক্ষণে সঙ্গে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url