অল্প পুজিতে লাভজনক ব্যবসা-২৫টি লাভজনক ব্যবসা করার আইডিয়া

অল্প পুজিতে লাভজনক সম্পর্কে একটি ধারণা থাকে না। আপনি যদি অল্প পুজিতে লাভজনক ব্যবসা করার আইডিয়া নিতে চান, তাহলে আমার লেখা আর্টিকেল এর সঙ্গে থাকুন। আমি আপনাকে অল্প পুজিতে লাভজনক ব্যবসা করার আইডিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়ে দিব। 

অল্প-পুজিতে-লাভজনক-ব্যাবসা
অল্প পুজিতে লাভজনক ব্যবসা করার আইডিয়া জানতে হলে আমার লেখা আর্টিকেলটি ধৈর্য সহকারে পড়তে হবে। তাহলে অবশ্যই আপনি অল্প পুজিতে লাভজনক ব্যবসা করার আইডিয়া খুঁজে পাবেন।

পোস্ট সূচিপত্রঃ ২৫ টি লাভজনক ব্যবসা করার আইডিয়া

অল্প পুজিতে লাভজনক ব্যবসা

অল্প পুজিতে লাভজনক ব্যবসা করতে হলে সর্বপ্রথম একটা কথায় মাথায় রাখতে হবে, যে কোন কাজকে ছোট মনে করতে নেই। প্রত্যেক কাজকে সম্মান করতে হবে। অল্প পুজিতে লাভজনক ব্যবসা করা সত্যি সম্ভব। এজন্য দরকার, সৃজনশক্তি আর অধ্যবসায়। খুঁজিতে ব্যবসা শুরু করতে হলে প্রথমে চিহ্নিত করতে হবে আপনার আগ্রহ ও দক্ষতার ক্ষেত্র। 


যেহেতু ব্যবসার ক্ষেত্রে আপনার বিনিয়োগ কম থাকবে তাই বাস্তবে বিক্রি করবেন আপনার দক্ষতা আর শ্রম। ব্যবসা করার ক্ষেত্রে আপনার দক্ষতা না থাকলে তার জনক ব্যবসা করা স্বভাব হবে না। অল্প পুঁজিতে লাভজনক ব্যবসা শুরু করতে হলে আপনার আগ্রহ থাকা জরুরী। আপনার আগ্রহ ও অদম্য ইচ্ছায় আপনাকে আপনার লক্ষ্য স্থানে পৌঁছতে সাহায্য করবে। অল্প পুজিতে লাভজনক ব্যবসা করার আইডিয়াকে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো-

চা এর দোকান ব্যবসা

চা এর দোকানের মাধ্যমে আপনি ব্যবসা করে লাভ করতে পারেন। কারণ চায়ের ব্যবসাটি একটি রানিং ব্যবসা প্রায় সবসময় এই দোকানে কাস্টমার থাকে। অল্প পুঁজি নিয়ে ব্যবসা শুরু করা যায়। যেখানে জন সমাগম বেশি সে প্লেসে চায়ের দোকানের ব্যবসা করার উপযুক্ত জায়গা। আপনি চাইলে অল্প পুজিতে এ ব্যবসা করতে পারেন। 

আপনি চায়ের পাশাপাশি কলা রুটি বিস্কিট এবং সামর্থ্য অনুযায়ী বাড়তি কিছু রাখতে পারেন, তবে আপনার বাড়তি আয় হবে। অধিক লাভের আশায় অনেকেই পান, সিগারেট রাখে। এগুলো রাখা আমি অনুচিত বলে মনে করি কারন এগুলোতে লাভের চেয়ে ক্ষতি বেশি হয়।

মাছের ব্যবসা করে আয়

আমরা মাছের ভাতে বাঙালি। আমরা ছোট বড় সবাই মাছ খেতে পছন্দ করি। মাছ যেমন শরীরের জন্য উপকারী ও মানানসই তেমনি পুষ্টিগুণে ও ভরপুর। আবার কিছু মাছ আছে স্বাদে ও গুনে অতুলনীয়। এজন্য আপনি যদি অল্প পুঁজির মধ্যে ব্যবসা করতে চান তাহলে মাছের ব্যবসাটা আপনার জন্য হতে পারে লাভজনক ব্যবসা। আপনি অল্প পুঁজি দিয়ে এ ব্যবসা করতে পারবেন। 

বর্তমানে অনলাইনে প্রচুর মাছের ব্যবসা চলছে। বাজারের অবস্থান ভেদে মাছের গদি ভাড়া কম বেশি হতে পারে। তবে এ পদ্ধতিতে গেলে আপ্নি অল্প পুঁজি দিয়ে ব্যবসা করতে পারবেন না, বিনিয়োগ বেশি লাগবে। তাই অল্প পুঁজি দিয়ে ব্যবসা করতে গেলে আপনি মাছের ব্যবসা অনলাইন ভিত্তিক করতে পারেন। কুরিয়ার করে আপনি মাছ পাঠাতে পারেন অনলাইনে ব্যবসা করার মাধ্যমে তাহলে আপনার লাভ হবে।

পোশাকের ব্যবসা করে আয়

আপনি যদি অল্প পুজিতে লাভজনক ব্যবসা করতে চান তাহলে তৈরি পোশাকের ব্যবসা করলে আপনাকে আর কিছু ফিরে তাকাতে হবে না। আপনি অল্প পুঁজি দিয়ে অনলাইনের মাধ্যমে পোশাকের ব্যবসা করতে পারেন। এ ব্যবসা করাটা আপনার জন্য অনেক ভালো হতে পারে। আপনি এ ব্যবসাটি অনলাইন এবং অফলাইন দুটি মাধ্যমে করতে পারেন। 


একটি ছোট দোকানের মাধ্যমে ব্যবসার করতে পারেন। কম দামে পোষা কিনে আপনি অনলাইনের মাধ্যমে আমের বিক্রয় করে লাভ করতে পারেন অনলাইনের মাধ্যমে আপনি যেকোনো পোশাক বিক্রি করতে পারেন যেমন থ্রি পিস, টু পিস, শাড়ি, টি শার্ট, জিন্স, রেডিমেট পাঞ্জাবি, প্যান্ট এসব পোশাকের উপর মানুষের চাহিদা থাকে অনেক বেশি। আপনি অল্প পুঁজিতে এই ব্যবসাটি ও করতে পারেন।

খাবারের ব্যবসা করে আয়

খাবারের ব্যবসা করে আপনি অল্প পুঁজিতে লাভ করতে পারেন। আপনি যদি অল্প পুজিতে লাভজনক ব্যবসা করতে চান খাবারের ব্যবসা আপনার জন্য হবে পারফেক্ট। এই খাবারের ব্যবসাটি আপনি অল্প পুঁজি দিয়ে শুরু করতে পারেন। অনলাইনের মাধ্যমে বিভিন্ন খাবার পন্য দেখিয়া আপনি এ ব্যবসা শুরু করতে পারেন। 

ভালো মানের খাবার রান্না করে বাড়ি থেকে সে খাবারকে হোম ডেলিভারিও করতে পারেন। আপনি যদি অল্প কিছু আইটেম দিয়ে শুরু করেন এবং খাবারের মান ও স্বাদ দুটোই ভালো থাকে তাহলে আপনি খুব সহজে কাস্টমার পাবেন। বর্তমান সময়ে খাবার ডেলিভারি নিয়ে আপনাকে ভাবতে হবে না। কারণ কারণ এরকম পেশাজীবী অনেক প্রতিষ্ঠান রয়েছে।

ফুলের ব্যবসা করে আয়

ফুলের ব্যবসা করে আপনি অনেক টাকা ইনকাম করতে পারেন। অল্প পুঁজি দিয়ে লাভজনক ব্যবসার মধ্যে এটি একটি অন্যতম।ব্যবসা হিসেবে ফুল বিক্রি করার পেশাটা আপনি বেছে নিতে পারেন। কারণ বিভিন্ন সিজনে ফুলের ব্যবসা অনেক জমজমাট হয়ে ওঠে। আপনি অল্প পরিসরে কিংবা ছোট্ট দোকান নিয়ে এ ব্যবসাটি নিয়মিত করতে পারেন। এই ফুলের ব্যবসাটা আপনার জন্য হতে পারে লাভজনক। ফুলের ব্যবসা করে আপনি অনেক টাকা ইনকাম করতে পারেন।

ব্লগিং ব্যবসা করে আয়

ব্লগিং ব্যবসা করে আপনি অল্প পুঁজি দিয়ে লাভ করতে পারেন। দেশ-বিদেশে কন্টেন্ট রাইটারদের প্রতি অনেক চাহিদা রয়েছে। ওয়েবসাইট এর জন্য এবং ইংরেজিতে বিভিন্ন বিষয়ের উপর কনটেন্ট লিখে ফুল টাইম কাজ করে চলছে অনেক ফ্রিল্যান্সার। যেকোনো লিখিত ভাষায় দক্ষ হয়ে আপনি কন্টেন্ট রাইটিং এর জব পার্ট টাইম হিসেবে করতে পারেন।এতে করে আপনার অল্প পুঁজিতে লাভজনক ব্যবসা করা সম্ভব। 

আপনি যদি একজন ভালো মানের ও দক্ষ আর্টিকেল রাইটার তাহলে আপনার কনটেন্ট এর মান অনেক বেশি থাকবে। গুগলে আপনার কনটেন্ট কে সহজে ব্যাংকে দিবে। আপনার কনটেন্ট যদি রেঙ্কে যেতে শুরু করে তাহলে আপনার ইনকামের পথ উন্মুক্ত হয়ে যাবে। আপনার লেখা কন্টেন্টগুলো গুগল র‍্যাঙ্কে গেলে আপনার ইনকাম জ্যামিতিক আকারে বাড়তে থাকবে।

সেলাই মেশিনের ব্যবসা করে আয়

সেলাই মেশিনের ব্যবসা মহিলাদের জন্য বেশ লাভজনক হতে পারে। সেলাইয়ের কাজে অবশ্যই আপনাকে পারদর্শী হতে হবে। আর আপনি যদি সেলাই দক্ষ বা এক্সপার্ট না হন, তাহলে বিভিন্ন ইউটিউব চ্যানেল দেখে আপনি সেলাইয়ের কাজ সম্পন্ন করতে পারেন। এজন্য আপনাকে সেলাইয়ের কাজে আগ্রহী হতে হবে। অল্প পুজিতে ব্যবসা করতে চাইলে দর্জির কাজকে আপনি বেছে নিতে পারেন।


দর্জির কাজগুলো অবশ্যই আপনাকে দক্ষতার সাথে করতে হবে। আপনি আপনার নিজের বাড়ি থেকেও এই কাজটি করতে পারেন। কাস্টমারের বাড়িতে গিয়ে ডিজাইন আর মাপ নিয়ে এসে বাড়িতে বসে বানিয়ে পৌঁছে দিয়ে আসতে পারেন ক্রেতার বাড়িতে। তাছাড়া অনলাইনে বহু নতুন নতুন ডিজাইন পাওয়া যায়। 

সেখান থেকে নিজের পছন্দমত ক্যাথলেট তৈরি করে নিয়ে সুন্দর সুন্দর জামা তৈরি করে বিক্রি করতে পারেন। পোশাকগুলোকে আকর্ষণীয় করার জন্য হাতের কাজও করতে পারেন। যাতে করে কাস্টমারের মন আকৃষ্ট হয়। এভাবে আপনি আপনার দর্জির কাজ চালিয়ে যেতে পারেন।

বিউটিশিয়ান করে আয়

অল্প পুজিতে ব্যবসা করতে চাইলে আপনি বিউটিশিয়ান এর কাজ করতে পারেন। এজন্য চাই আপনার দক্ষতা। আপনার উপযুক্ত প্রশিক্ষণ ও দক্ষতা থাকলে অল্প পুজিতে এ ব্যবসাটি করা সম্ভব। প্রশিক্ষণ বা দক্ষতা থাকে তাহলে আপনি প্রথমে কিনে ফেলুন প্রাথমিক পরিষেবা দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ। আপনি চাইলেই বাড়িতে গিয়ে ফেসিয়াল, পেডিকিউর, ম্যানিকিওর,ওয়েল মাসাজ বা ওয়্যাক্সিংয়ের এর মত পরিসেবা দিতে পারেন। 

আমাদের মধ্যে অনেকেই আছে যারা এশিয়ানে বিউটিশিয়ান এ বা পার্লারে না গিয়ে বাড়িতেই এই সমস্ত সেবা পেতে পছন্দ করেন। আপনার যদি পরিষেবার মান ভালো হয় তাহলে লোকমুখেই প্রচারিত হবে। এজন্য আপনি আপনার একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন। এই ব্যবসাটি আপনার জন্য অল্প পুজিতে লাভজনক ব্যবসা হতে পারে।

মেকআপ আর্টিস্ট করে আয়

আপনি যদি সাজাতে বেশি পছন্দ করেন আর আপনার যদি উপযুক্ত প্রশিক্ষণ থাকে তাহলে খুব সহজেই আপনি অল্প পুজিতে লাভজনক ব্যবসা করতে পারবেন। মেকআপ আর্টিস্টে আপনার যদি অভিজ্ঞতা থাকে তাহলে আপনি গণেশ থেকে শুরু করে পাটি মেকআপ অথবা নাচ গানের অনুষ্ঠানে আপনার ডাক হতে পারে। এভাবে বিজনেসকে ভালোভাবে প্রসারিত করতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনার যদি একটি ওয়েবসাইট থাকে তাহলে আর্য অভিজ্ঞতার কথায় ক্রেতার কাছে পৌঁছানো খুব সহজ হবে।

অনলাইনে হস্তশিল্পী সামগ্রী বিক্রি করে আয়

বাংলাদেশের রয়েছে হস্তশিল্পীর বিপুল সম্ভার। হস্তশিল্পের জিনিসগুলো অনেক সৌখিন হয়ে থাকে। ঘর সাজানোর কাজে এগুলোর বিশেষ চাহিদা রয়েছে। অল্প পুজিতে লাভজনক ব্যবসা করতে হলে হস্ত শিল্পের  তৈরি ছোট ছোট ঘর সাজানো সামগ্রী সংগ্রহ করতে পারেন অথবা ছোট গহনা সংগ্রহ করতে পারেন।গ্রামিন শিল্পীরা অনেক কম দামে তাদের শিল্পী সামগ্রী বিক্রি করে থাকেন। তাই অত্যন্ত কম খরচে ব্যবসা করা সম্ভব।

ফ্রিল্যান্স কন্টেন্ট রাইটিং এর কাজ করে আয়

ইংরেজি ভাষায় দক্ষ হলে আপনি কন্টেন্ট রাইটিং এর কাজ পেতে পারেন। কনটেন্ট রাইটিং করে অনলাইনে আয় করা যায়। তাছাড়া বিভিন্ন ফ্রিল্যান্স সাইটের মাধ্যমে এ কাজ পাওয়া যেতে পারে। শুধু ইংরেজি ভাষায় নয় বাংলা ভাষাতেও কন্টেন্ট রাইটিং এর কাজ করা যায়। এ লেখা নিজস্ব কিছু কৌশল অবলম্বন করতে হবে।
 
আপনার লেখাকে সার্চ ইঞ্জিনের উপরের দিকে স্থান পাওয়ার জন্য জানতে হবে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের কাজ। আপনি যদি চেষ্টা করেন তবে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের কাজ করা কঠিন হবে না। শব্দভাণ্ডার ও ভাষার উপর দখল থাকায় এ ব্যবসা সাফল্যের মূল চাবিকাঠি। অল্প বিনিয়োগে ঘরে বসে আয় করতে পারবেন এ ব্যবসায়। এজন্য আপনাকে একটি স্মার্টফোন কিংবা একটি ল্যাপটপ ও ডেস্কটপ থাকলেই চলবে।

ইউটিউব চ্যানেল ব্যবসা 

আপনি ইউটিউব চ্যানেল খুলে অল্প পুজিতে লাভজনক ব্যবসা করতে পারেন। অনলাইনে আয় করার এটি একটি সহজ উপায়। শিক্ষামূলক থেকে শুরু করে রান্না শেখানো, বিভিন্ন জায়গায় পরিদর্শনের মাধ্যম সহ আরো অন্যান্য বিষয়ের ভিডিও তুলে আপলোড করতে পারেন আপনার ইউটিউব চ্যানেলে। এক্ষেত্রে আপনার শব্দ ও ছবির গুণমান ভালো হওয়া অত্যন্ত জরুরি। আপনি যদি ভিডিও দেখানোর মাধ্যমে যথেষ্ট ভিউ বাড়াতে পারেন তাহলে বিজ্ঞাপন বাবদ আপনি টাকা পাবেন।

অনুবাদের ব্যবসা করে

আপনি যদি দুই বা ততোধিক ভাষা জেনে থাকেন তাহলে আপনি অনুবাদের ব্যবসা শুরু করতে পারেন। বর্তমান পৃথিবী জুড়ে প্রতিনিয়ত অনুবাদের প্রয়োজন পড়ছে। হতে পারে সেটি? আইনি কাগজ বা মেডিকেল নথি অথবা গেমিং বা মোবাইল অ্যাপ। এজন্য আপনার কিছু দক্ষতা থাকা প্রয়োজন। আপনি ঘরে বসে ইন্টারনেটের ব্যবসা করে আয় করতে পারেন। 

আপনি যদি অনুবাদে ব্যবসাটা তাহলে অনুবাদ এসএসসির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়ে কাজটি করতে পারেন। অনুবাদ এজেন্সির সঙ্গে চুক্তি থাকলে আপনি সহজেই কাজ পেয়ে যাবেন।

গ্রাফিক্স ডিজাইন করে আয় করা

একজন গ্রাফিক ডিজাইনার অল্প সময়ে বেশি আয় করতে পারেন একজন পূর্ণ সময়ে চাকরির চেয়ে গ্রাফিক্সের কাজ করে ব্যবসায় আয় করা সম্ভব। আপনার যদি একটি কম্পিউটার আর প্রয়োজনীয় সফটওয়্যার থাকে তাহলে আপনি অল্প টাকায় লাভজনক ব্যবসা শুরু করতে পারবেন। এই কাজের জন্য আপনাকে আলাদা কোন অফিসের প্রয়োজন পড়বে না। 

গ্রাফিক্স-ডিজাইন-করে-আয়
আপনি আপনার কাজগুলো ঘরে বসেই করতে পারেন। এ কাজ করে আপনি ঘরে বসেই অর্ডার পেতে পা্রেন। চুক্তিপরে পারেন কোন কোম্পানির সঙ্গে। যাদের নিয়মিত গ্রাফিক্স ডিজাইনের কাজের প্রয়োজন আপনি তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে পারেন।

অনলাইন গিফট শপ করে আয়

বর্তমানে আমাদের দেশে দিন দিন অনলাইনে শপিং এর চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমরা আমাদের প্রিয়জনদের বিশেষ দিনে বিভিন্ন প্রকার গিফট দিয়ে থাকি, যা আজকাল খুবই প্রচলিত একটি বিষয়। অনলাইন শপের মধ্যে শীর্ষে রয়েছে অনলাইন গিফট শপ। অনলাইন শপিং এর প্রতি মানুষের চাহিদা বাড়ার সাথে সাথে প্রিয়জনকে দেওয়ার চাহিদা বেড়েছে। আর এই গিফট গুলো যদি আমরা অনলাইনে পেয়ে থাকি, তাহলে আমাদের জন্য গিফট প্রদান সহজ হয়ে যায়। 

আজকাল মানুষের গিফট দেয়া নেয়ার প্রতি বিশেষ আগ্রহ আছে। এই সহজ জাত আগ্রহকে কাজে লাগিয়ে এটাকে ব্যবসায়ীর রূপা করতে পারেন। আপনি চাইলেই আপনার আশেপাশের বিভিন্ন দোকান থেকে ছোট ছোট গিফট উপাদান গুলো পাইকারিতে সংগ্রহ করে পার্সোনালাইজ্ড করে অনলাইনে খুচরা বিক্রি করতে পা্রেন। বর্তমান সময়ে পার্সোনালাইজড গিফট গুলোর চাহিদা অনেক বেশি। অল্প পুজিতে আপনি এ ব্যবসাটি ও বেছে নিতে পারেন।

ফুসকার ব্যবসা করে আয়

ফুচকার ব্যবসা হচ্ছে অল্প পুজিতে লাভজনক ব্যবসা। আমাদের দেশে সব বয়সের মানুষ ফুচকা খেতে পছন্দ করে। আপনি চাইলেই যেখানে জনসমাগম বেশি এমন একটি স্থান বেছে নিয়ে ফুটকাট নিয়ে ছোট করে ফুচকা দোকান দিতে পারেন। কোন কাজকে ছোট মনে করতে নেই এবং কাজের মধ্যে লজ্জার কিছু নেই।

বর্তমানে ফুচকার ব্যবসা একটি অধিক লাভজনক ব্যব্সা। এই ব্যবসায় লস হওয়ার আশঙ্কা খুবই কম। বাংলাদেশের জনপ্রিয় ফুট স্ট্রিট এর মধ্যে ফুসকার ব্যবসা অন্যতম। বর্তমানে অনেকের মধ্যে এর ব্যবসা করার যোগ দেখা যাচ্ছে। গুলোতে ফুড স্ট্রেট গুলোতে, রাস্তার মোড়ে, স্কুল, কলেজ বা ভার্সিটির আশেপাশে এ ব্যবসাটি জমজমাট হতে দেখা যায়। 

একজন ফুসকা ব্যবসায়ী মাসে ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা ইনকাম করে থাকে। আপনি যদি এ ব্যবসার সফলতা অর্জন করতে চান তাহলে আপনাকে সঠিক জায়গায় দোকানটি স্থাপন করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

মোবাইলে রিচার্জ এর দোকান 

মোবাইলে রিচার্জ করা বর্তমান বাংলাদেশে খুবই গুরুত্বপূর্ণ চাহিদায় রূপান্তরিত হয়েছে। আপনি যদি রিচার্জ করার দোকান করতে চান তাহলে অল্প পরিসরে করতে পারেন। এজন্য আপনাকে বিশাল বড় একটা দোকানের প্রয়োজন হবে না। এই ব্যবসাটি করতে চাইলে আপনার গ্রামের বাজারে কিংবা শহরের যেকোনো একটি ছোট্ট টেবিল চেয়ার নিয়েও এ ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন। 

এই ব্যবসায়ী লাভের পরিমাণ কম হলেও সারা জীবন করে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। বিকাশের পাশাপাশি আপনি নগদ রকেট ইত্যাদির ব্যবসা করেও অধিক আয় করতে পারেন। এই ব্যবসার মূল ইনকাম হয় কোম্পানির কমিশন থেকে। মূলধন কম এবং পরিচালনা খরচ কম হওয়ায় এ ব্যবসার লস এর সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।

কাগজের ঠোঙ্গার ব্যাবসা করে আয়

কাগজের ঠোঙ্গার ব্যবসা বর্তমানে একটি তুমুল লাভজনক ব্যবসা। বর্তমান সময়ে পলিথিন ব্যবহারের উপর নিষেধাজ্ঞা আরব হওয়ার ফলে কাগজের ঠোঙ্গার প্রতি ব্যবসায়িকদের চাহিদা বেড়েছে। তাই ঠোঙ্গার ব্যবসা চাঙ্গা হওয়ার প্রতি বিশেষ সম্ভাবনা রয়েছে। আমরা দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহারিক জিনিসপত্র দোকান থেকে আনার জন্য ঠোঙ্গার প্রয়োজন অনুভব করি। 

অল্প পুঁজি দিয়েই লাভজনক ব্যবসা তৈরি করতে পারেন ঠোঙ্গা তৈরি করে। এজন্য প্রয়োজন হবে কাগজ, আঠা এবং কাটিং মেশিন। এই কয়টি উপকরণ হলেই আপনি ঘরে বসে ব্যবসা করতে পারেন।ঠোঙ্গাগুলো আপনি বাজারের দোকানগুলোতে নিজের সাপ্লাই দিতে পারেন এটা আপনার প্রাথমিক খরচ কম থাকবে।

মিনারেল ওয়াটার এর ব্যবসা

আমাদের চারপাশে তাকালে দেখা যায় যে ছোট বিভিন্ন দোকানগুলোতে ফিল্টারের উপর বড় পানির বোতল স্থাপন করা আছে। এই বোতলগুলো থেকে বিশুদ্ধ পানি পাওয়া যায়। বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করার জন্য ব্যবসায়ী গুষ্টিরা বিভিন্ন ফিল্টার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পানিকে বিশুদ্ধ করে। এসব ফিল্টারকৃত পানি ঢাকা সহ পার্শ্ববর্তী এলাকায় মিনারেল পানির জন্য ব্যাপক চাহিদা বিদ্যমান।


অল্প পরিমাণে বিশুদ্ধপানি দিয়ে ব্যবসা শুরু করেন, ভবিষ্যতে এসব ব্যবসা দিয়ে ভালো আয়ের সম্ভাবনা তৈরি হবে। যেসব এলাকায় বিশুদ্ধ পানির অভাব রয়েছে সেসব এলাকাতে দোকানের পাশাপাশি বাড়িতে রেখে মিনারেল ওয়াটার সাপ্লাই দিয়ে আয় করতে পারেন।

ডে কেয়ার সেন্টার করে আয়

ডেকে আর সেন্টার করে আপনি অল্প পুজিতে লাভজনক ব্যবসা করতে পারেন। ডে কেয়ার সেন্টারগুলো একটি নিরাপদ ব্যবসায়িক সেন্টার। আপনি যদি শিশুদের ভালবাসেন এবং তাদের যত্ন নিতে আগ্রহী হন, তাহলে আপনি ডে কেয়ার সেন্টার করে লাভ করতে পারবেন। আমাদের দেশে অনেক পরিবার আছে যাদের অভিভাবক চাকরি করেন। 

তারা তাদের সন্তানের সঠিকভাবে যত্ন নিতে পারে না। তাই তারা ডে কেয়ার সেন্টারে রাখার চিন্তা করেন। আপনি যদি আপনার ডে কেয়ার সেন্টারটি মানসম্মত ও নিরাপদ করতে পারেন, তাহলে আপনার প্রতিষ্ঠানে অনেক অভিভাবক তাদের সন্তান পুরো দিনের জন্য নিরাপদে রেখে যেতে পারেন।

মোবাইল সার্ভিসের কেন্দ্র 

মোবাইল সার্ভিসের কেন্দ্র গড়ে তোলে আপনি অল্প পুজিতে লাভজনক ব্যবসা গড়ে তুলতে পারেন। যেহেতু মোবাইল ফোনের ব্যবহার দিন দিন বেড়েই চলছে এবং নতুন নতুন মোবাইল ফোন বাজারে আসছে। ফোনগুলোর পুরো সমস্যা দেখা দিলে তা সমাধানের জন্য মোবাইল সার্ভিসিং কেন্দ্রের প্রয়োজন।

মোবাইলে-সার্ভিস-কেন্দ্র
বাংলাদেশের প্রায় ছোট বড় সব বাজারে মোবাইল সার্ভিসিং কেন্দ্র দেখতে পাওয়া যায়। আপনি যদি মোবাইল সার্ভিসিং এর বিভিন্ন দিক সম্পর্কে অভিজ্ঞতা রাখেন তাহলে আপনি এই ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন। মোবাইল সার্ভিসিং এর জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণগুলো অল্প পুজিতে পাওয়া যাবে। অল্প পুজিতে লাভজনক ব্যবসার মধ্যে মোবাইল সার্ভিসিং অন্যতম। 

সিঙ্গারা,পুরীর হোটেল 

সিঙ্গারা পুরির হোটেল করে আপনি অল্প পুজিতে লাভজনক ব্যবসা করতে পারেন। অল্প পুজিতে লাভজনক ব্যবসা করতে হলে আপনি সিঙ্গারা হোটেল গ্রহণ করতে পারেন। এই ব্যবসাটি আপনার জন্য খুব ভালো একটি উদ্যোগ হতে পারে। কারণ যেখানে আপনার দোকান ভাড়া তুলনামূলক কম এবং খাবারের চাহিদা বেশি থাকে।

লন্ড্রি সার্ভিস করে আয়

লন্ড্রি সার্ভিস করে আপনি অল্প পুজিতে লাভজনক ব্যবসা করতে পারেন। এই ব্যবসাটি পরিচালনার জন্য নির্দিষ্ট করনি অথবা এরিয়াকে কেন্দ্র করে লন্ডন সার্ভিস দিতে পারেন। এজন্য দোকান ভাড়া এবং লন্ড্রি করার  জন্য আইরন পড়বে। আয়রন করার জন্য যে প্রয়োজনীয় উপকরণ লাগবে তা অল্প পুজিতে সম্ভব। অল্প পুজিতে ব্যবসা করার জন্য এটি আপনার জন্য পারফেক্ট হতে পারে। 

লেখক এর শেষ কথা 

অল্প পুজিতে লাভজনক ব্যবসা করার কথা আলোচনা করতে গিয়ে ২৫ টি ব্যবসা করার আইডিয়া দেওয়া হয়েছে। আমার এই আর্টিকেলটি অল্প পুজিতে লাভজনক ব্যবসার আইডিয়া সংক্রান্ত আর্টিকেল। আপনি এখান থেকে আপনার জন্য পারফেক্ট ব্যবসাটি বেছে নিতে পারেন। আপনি অবশ্যই ব্যবসা করার আগে ব্যবসার সংক্রান্ত বিস্তারিত ধারণা নিয়ে নিবেন। 

আপনি যদি ধারণা না নেন তাহলে আপনাব্যবসায় লোকসান হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।অভিজ্ঞতা ছাড়া আপনি যদি ব্যবসায় গিয়ে ক্ষতির মুখোমুখি হন, তাহলে লেখক আপনার জন্য দায়ভার থাকবে না।আমার লেখা আর্টিকেল যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে নিয়মিত আমার ওয়েবসাইটটি ভালো করুন। আমার লেখা যদি কোন ভুল থেকে থাকে এবং আমি যদি আপনাদের কোন কষ্ট দিয়ে থাকি, তাহলে নিজ গুনে আমাকে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। এতক্ষণে সঙ্গে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। 


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url