সজনে পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা। সজনে পাতার ২৫ টি আশ্চর্যজনক পুষ্টিগুণ
সজনে পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আপনি কি জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আপনি সঠিক
জায়গায় এসেছেন। বহুল পরিচিত এই স্বজনে পাতা। ছোট বড় সবাই চেনে এই পাতাটিকে।
সজনে পাতাকে চিকিৎসা বিজ্ঞানীগণ সুপার ফুড বলেও আখ্যায়িত করে্ছেন।
শুধু কি তাই? বহুল পরিচিত স্বজনা পাতার মাঝে অনেক ঔষধি গুন রয়েছে। আজ আমি সজনে
পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানাবো। চলুন জানা যাক সজনে পাতার
উপকারিতা সম্পর্কে-
পোস্ট সূচিপত্রঃ সজনা পাতার ২০টি আশ্চর্যজনক পুষ্টিগুণ
- সজনে পাতার উপকারিতা
- সজনে পাতার পুষ্টি উপকারিতা
- সজনে পাতার ২০টি আশ্চর্যজনক পুষ্টিগুণ
- সজনে পাতা খাওয়ার নিয়ম
- গর্ভাবস্থায় সজনে পাতার উপকারিতা
- চুলের যত্নে সজনে পাতা
- চুলের যত্নে সজনে পাতা ব্যবহার
- সজনে পাতা প্রোটিন ও ক্যালসিয়ামের অভাব পূরণ করে
- সজনে ডাটার বহুমুখী ব্যবহার
- বাংলাদেশে সজনার চাষ
- সাজনা পাতার অপকারিতা
- সজনে পাতার উপকারিতা নিয়ে লেখকের শেষ মন্তব্য
সজনে পাতার উপকারিতা
সজনে পাতার উপকারিতা সম্পর্কে আমরা হয়তো অনেকেই জানিনা। পুষ্টিগুণের ভরপুর এই
সজনে পাতা। গবেষকরা সজনে পাতাকে সুপার ফুড বলেছেন। অবিশ্বাস্য হলেও সত্য যে,
প্রতি গ্রাম সজনে পাতায় গাজরের চেয়ে ৪ গুণ বেশি ভিটামিন এ, দুধের চেয়ে ৪ গুণ
বেশি ক্যালসিয়াম, কলার চেয়ে ৩ গুণ বেশি পটাশিয়া্ম, কমলালেবুর চেয়ে ৭ গুণ বেশি
ভিটামিন, দই এর চেয়ে ২ গুন বেশি প্রোটিন আছে।
আরো পড়ুনঃ
চিয়া সিড খাওয়ার উপকারিতা
নানান চিকিৎসায় ব্যবহার হয়ে আসছে সজনে পাতা। প্রায় ৩০০ রকমের রোগের
চিকিৎসা হয় এই সজনে পাতা এবং গাছ দিয়ে। সজনে গাছ চাষাবাদ করা খুবই সহজ। সজনে
গাছের শাখা দিয়ে চারা উৎপন্ন করা হয়। এপ্রিল মাসের শেষের দিকে এ গাছে চারা
লাগানোর সময়। সজনে গাছ দ্রুত বর্ধনশীল গাছ। সজনে ডাটা আমরা সবজি হিসেবে
খেয়ে থাকি।
কিন্তু সজনে পাতা যে শাক হিসেবে খাওয়া যায়, তা কি আমরা জানি? আমরা অনেকেই সজনে
পাতার ছাদ শাক খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানিনা। সজনা পাতা শুধু তেল ও রশুন দিয়ে
রান্না করলে খেতে শুধু সুস্বাদুই নয় এটি পুষ্টিকর বটে। সজনে ডাটা এবং সজনে
পাতাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, যা আমাদের খাদ্য হজমে বিশেষ সহায়তা করে।
অতিরিক্ত তৈলাক্ত খাবারের ফলে তেল রক্তনালিতে আটকে থাকে আর সজনে পাতা সে তেল গুলো
বের করতে সাহায্য করে। সজনে পাতার মধ্যে এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান রয়েছে। যা
আমাদের গেস্টিক আলসার এবং গ্যাস্ট্রিক জনিত ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়তা করে।
তাছাড়া সজনে পাতার মাঝে রয়েছে নানান উপকারিতা। ইংরেজিতে এই গাছটিকে মিরাক্কেল
ট্রি বা অলৌকিক গাছ নামে আখ্যায়িত করেছেন।
নিম্নে সজনে পাতার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো-
- ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাজনা পাতাঃ ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের সাজনা পাতা বিশেষ ভূমিকা পালন করে। আপনাদের পরিবারের মধ্যে কারো ডায়াবেটিস থাকে। নেই অবশ্যই তাকে প্রতিদিন মাত্র ৫০ গ্রাম সজনে পাতার শাক খাওয়াবেন অথবা ৫০ গ্রাম পাতার জুস খাওয়াবেন। কারণ সজনেপাতার এমন এক ঔষধি গুণ রয়েছে যা ডায়াবেটিস কে ২১ শতাংশ পর্যন্ত কমিয়ে আনা সম্ভব। গবেষণায় দেখা গেছে একজন ডায়াবেটিস রোগী প্রতিদিন এক চামচ সজনে পাতার গুড়া খেলে ডায়াবেটিস অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব।
- সজনে পাতা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এর খনিঃ সজনে পাতাকে এন্টিঅক্সিডেন্ট এর খনি বলা হয়। সজনে পাতার মাঝে প্রায় ৯০ টির বেশি এবং ৪৬ রকমের এন্টিঅক্সিডেন্ট উপস্থিত বা বিদ্যমান। তাছাড়াও রয়েছে ভিটামিন সি, বেটাকে রুটিন কিউ রেকর্ডিং এবং ক্লোরোজেনিক এসিড বিদ্যমান। প্রত্যেকটি উপাদান মানব দেহের জন্য অত্যন্ত উপকারী। ক্লোরোজেনিক এসিড দিয়ে রক্তের চাপস হরকরা কমাতে সাহায্য করে। জার্নালের দাবি সজনে পাতায় বিদ্যমান অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট কোষের ক্যান্সার সৃষ্টিতে বাধা প্রদান করে।
- সজনে বীজের তেলঃ সজনে বীজের তেল আর এক আশ্চর্য উপকারী বস্তু। এ বীজের তেলে রয়েছে তেলেসমাতি কারবার। যেকোন ভেজিটেবল অয়েল এর চেয়ে অধিক পুষ্টিগুণ সম্পন্ন সজনে বীজের তেল। কে মরিঙ্গা ওয়েল বলা হয়। লিভারের রোগীদের জন্য এই তেল খুব উপকারী। এছাড়া বাতের ব্যথা এবং শীতের আদ্রতা থেকে তত্ত্বের রক্ষা করা সহ রূপচর্চা তেল এ তেল বিশেষ কার্যকর।
- হৃদরোগের ঔষধঃ সজনে ডাটা আপনার হৃদপিন্ডের বন্ধু হতে পারে। মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর কোলেস্টেরলকে হত্যা করে সজনে ডাটা। বহু বছর ধরে থাইল্যান্ডে সজনা ডাটা কে হৃদরোগের ঔষধ হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। মাত্র তিন মাস ব্যবহারে কোলেস্টরেভেল কমিয়ে আনে সজনে পাতা।
- আর্সেনিক দূষণ রোধ করেঃ পানির আর্সেনিক দূষণ বর্তমান পৃথিবীতে একটি অন্যতম সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। পানির এই আর্সেনিক দূর করতে সজনে ডাটা এবং সজনে পাতা বিশেষ ভূমিকা পালন করে। তাছাড়া আর্সেনিক দর্শনে আক্রান্ত রোগীকে যদি সজনে পাতার ব্যবহার এবং ব্যবহার করা হয় তাহলে রোগী অল্প দিনে সুস্থ হয়ে যাবে বলে আশা করা হয়।
- মায়ের বুকের দুধ বৃদ্ধিতে সহায়তা করেঃ সজনা পাতা এমন একটি উপকারী পাতা যা খেলে মায়ের বুকের দুধ বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। সজনে পাতার মাঝে কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই। এক টেবিল চামচ সজনেপাতা পাউডারে ১৪% প্রোটিন ৪০% ক্যালসিয়াম ২৩% আইরন বিদ্যমান। সজনা পাতার পাউডার এর থেকে তিন বছরের শিশুর সুষ্ঠু বিকাশে সাহায্য করে। একজন গর্ভবতী মায়ের শিশুর দুধ খাওয়া অবস্থায় মাত্র ছয় টেবিল চামচ পাউডার প্রতিদিনের আয়রন এবং ক্যালসিয়ামের চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম।
- প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়কঃ সজনে পাতা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে আপনি যদি নিয়মিত ভাবে ফজলে পাতা সেবন করেন তাহলে আপনার শরীরের ডিপেন্স মেকানিজম কে আরো শক্তিশালী করে। তাছাড়া এইচ আই ভি ভাইরাস আক্রান্ত রোগীর ক্ষেত্রে সজনেপাতা ও সজনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে সক্ষম।
- খাদ্য হজমে সাহায্য করেঃ সজনে ডাটা এবং সজনে পাতায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। নিয়মিত খাবারের ফলে আমাদের খাদ্য হজমে এবং হজম শক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
- ওজন কমাতে সাহায্য করেঃ সজনে পাতা আপনার শরীরের অতিরক্ত ওজন কমাতে সাহায্য করে। আপনি যদি শরীরের ওজন কমাতে চান তাহলে ব্যায়ামের পাশাপাশি সজনে পাতা ব্যবহার করতে পারেন।
- কিডনি সুস্থ রাখেঃ সজনে ডাটা এবং সজনে পাতায় এন্টি ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান। সজনে ডাটা এবং সজনেপাতা খাবারের ফলে আমাদের যতই কিডনি সুস্থ রাখে। এছাড়াও আমাদের রূপ লাবণ্য বৃদ্ধিতে সহায়ক।
- অকাল বার্ধক্য প্রতিরোধঃ সজনেতে ৩৬ টি ইনফ্লামেটরি বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান। নিয়মিত এবং সজনে পাতা খাবারের ফলে অকারবার্ধক্য প্রতিরোধে বিশেষ কার্যকর।
- ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করেঃ নিয়মিত সজনা পাতা এবং সাজনা ডাটা খাবারের ফলে ক্যান্সার প্রতিরোধে লড়াই করে।
- ইন্টেস্টাইন ও প্রোটেস্ট সংক্রমণঃ সজনে ডাটা এবং সজনে পাতা বিভিন্ন ধরনের সংক্রম উঠে লড়াই করে।
- মাইগ্রেনের সমস্যা দূর করেঃ সজনে পাতা এবং সজনে ডাটা মাইগ্রেনের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। তাছাড়াও শ্বাসকষ্ট, মাথা ধরা, আর্থাইটিস এবং চুল পড়া রোধে সজনে বিশেষ কার্যকর।
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করেঃ সজনে পাতা শরীরের প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করে। শরীরের বিষাক্ত দ্রবণ অপসারণ করে এবং শরীরে রেডিয়েশন ও কেমোথেরাপি নিতে সাহায্য করে।
- হৃদ রোগের চিকিৎসায় সজনে পাতাঃ সজনে পাতার রস হৃদরোগের চিকিৎসায় বিশেষ কার্যকর তাছাড়া রক্তের প্রবাহ বৃদ্ধিতে সজনে পাতার রস ব্যবহার করা হয়।
- এন্টিসেপটিক হিসেবে সাজনা পাতাঃ বিষ ধরপোকার কামড়ে সজনে পাতা এন্টিসেপটিক হিসেবে কাজ করে।
- ক্ষত সারাতে সাহায্য করেঃ আপনার যদি কোন স্থানে ক্ষত থাকে, তাহলে আপনি সজনে পাতা রস বা সজনে পাতার পেস্ট ক্ষতস্থানে দিতে পারেন। কারণ সজনে পাতার পেস্ট ক্ষত সারাতে অত্যন্ত উপকারী।
- সজনে বীজের তেলে নানান কেরামতিঃ সজনে বীজের তেলে জাদুকারী কেরামতি আছে। যাদের বাত জনিত ব্যথা, অবসতা এবং সায়াটিকা সহ নানান রোগ সারাতে বিশেষ কার্যকরী। তাছাড়া সজনে ফল নির্মিত রান্না করে খেলে গেটে বাদ থেকে রেহাই পাওয়া যায়।
- কৃমিনাশক হিসেবে সজনে পাতাঃ সজনে পাতাকে কৃমি রোগের মহা ঔষধ বলা হয়। কচি সজনে ডাঁটা খাবারের ফলে কৃমি নাশক, লিভার জনিত রোগ এবং প্যারালাইসিস ও টিটেনাস এর জন্য বিশেষ উপকারী।
- কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করেঃ সজনা ফুল আপনার কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। আপনাদের পরিবারে যদি কারো কোষ্ঠকাঠিন্য থাকে তাহলে তাকে সজনে ফুলের ভর্তা এবং সাজনা ফুলের সালাত খাওয়াতে পারেন। কয়েকদিন নিয়মিত খাবারের ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হবে।
- দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করেঃ সজনা পাতা এবং সজনে ফুল খাবারের ফলে আপনার চোখের দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি পাবে। যাদের চোখের দৃষ্টি শক্তি কম আছে, তারা যেন সজনে পাতা এবং ফুল খেতে থাকেন। সজনা ফুল আপনার দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করবে।
- বহুমূত্র রোগঃ আপনাদের পরিবারের কারো যদি বহুমূত্র রোগ থাকে, তাকে অবশ্যই সজনে পাতার রস খাওয়াতে পারেন। কারণ সজনে পাতার রস বহুমূত্র রোগ সারাতে পারে।
- জ্বর সর্দি নিবারনে সজনে পাতাঃ জ্বর সর্দি নিবারণের সজনে পাতা এবং স্জনে গাছের ছাল অত্যন্ত কার্যকরী। জ্বর ও সর্দি নিবারণে আপনি সজনে পাতার ভর্তা, শাক এবং সজনে গাছের ছাল ভর্তা করে খেলে যন্ত্রণাদায়ক জ্বর সর্দি নিবারণ হবে।
- গ্যাস নিবারণে ভূমিকা রাখেঃ সজনে পাতার রসের সাথে লবণ মিশিয়ে খেলে বাচ্চাদের পেটে জমে থাকা গ্যাস নিবারণে ভূমিকা রাখে।
- হাঁপানি রোগে কার্যকরঃ সজনে ফুলের রস দুধের সাথে মিশিয়ে খেলে হাঁপানি রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। তাছাড়া মূত্র পাথরই দূর করতে সাহায্য করে।
- ফোড়া সাড়াতে পারেঃ সজনে গাছের আঠা ফোঁড়ার উপরে প্রলেপ দিলে ফোড়া ভালো হয়ে যায়।
- মাথাব্যথা সারাতে পারেঃ আপনাদের মাঝে যদি কারো মাথাব্যথা হয়, তাহলে সজনে আঠা দুধের সাথে খেয়ে নিতে পারেন। কারণ সজনে আঠার সাথে দুধ মিশে খেলে মাথাব্যথা সেরে যায়। তাছাড়া সজনে আঠা কপালে মালিশ করলে মাথা ব্যথা ভাল হয়।
- কান ব্যথা ভালো হয়ঃ সজনে গাছের শিকড়ের রস কান ব্যথা সারাতে বেশ কার্যকরী। আপনাদের মাঝে যদি কারো কান ব্যথা করে, তাহলে সজনে গাছের শিকড়ের রস কানের মাঝে দিলে কানের ব্যথা সেরে যায়।
- শরীর ব্যথা ভালো হয়ঃ শরীরের কোন জায়গায় ব্যথা হলে সজনে শিকড়ের রস প্রলেপ দিলে কিংবা মালিশ করলে শরীরের ব্যথা ভালো হয়ে যায়।
সজনে পাতার পুষ্টি উপকারিতা
সজনে পাতা এবং সাজনা ডাটাকে পুষ্টি ভান্ডার বলা হয়। সজনে পাতায় রয়েছে
অনেক ভিটামিন এবং পুষ্টি উপাদান। প্রোটিন, ভিটামিন এ, ভিটামিন সি,
পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, আয়রন সহ অন্যান্য পুষ্ট উপাদান। সজনে
পাতায় আয়রনের পরিমাণ পালং শাক এর চেয়ে ৫ গুণ বেশি আছে। তাছাড়া সজনে
পাতাকে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এর খনি বলা হয়ে থাকে।
সজনে পাতার মাঝে রয়েছে ভিটামিন সি, বেটাকে- রুটিন, ইউরেকটিন এবং ক্লোরোজেনিক
এসিড। এর সবগুলো উপাদানই মানব দেহের জন্য অত্যন্ত কার্যকর। প্রতিদিন মাত্র ৫০
গ্রাম সজনেপাতা গুড়া খেলে ২১% ডায়াবেটিস নেমে আসার সম্ভাবনা থাকে। তাছাড়া সজনে
পাতা ক্লোরোজেনিক এসিড বিদ্যমান থাকায় উচ্চ রক্তচাপ এবং শর্করা কমাতে বিশেষভাবে
কাজ করে।
অনেকগুলো পুষ্টি একসাথে থাকার কারণে সাজনা পাতা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা
বৃদ্ধি করে। প্রতি ১০০ গ্রাম সজনে পাতা থেকে পাওয়া যায় যেসব পুষ্টি উপাদান-
পুস্টি উপাদান | পুস্টির পরিমান |
---|---|
ভিটামিন এ | ৩৭৮ মাইক্রোগ্রাম |
ভিটামিন সি | ৫১.৭ মিলিগ্রাম |
পটাশিয়াম | ০.০ গ্রাম |
ক্যালশিয়াম | ১৮৫ মিলিগ্রাম |
ম্যাগনেশিয়াম | ১৪৭ মিলিগ্রাম |
সোডিয়াম | ১৯ মিলিগ্রাম |
প্রোটিন | ৯.৪০ গ্রাম |
স্নেহ | ১.৪০ গ্রাম |
শর্করা | ৮.২৮ গ্রাম |
ফাইবার | ২.০ গ্রাম |
সজনে পাতার ২০টি আশ্চর্যজনক পুষ্টিগুণ
সজনে পাতার ২০টি আশ্চার্য পুস্টিগুন নিচে আলোচনা করা হলো-
- সজনে পাতা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
- হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।
- সাজনা পাতা শরীরের বিভিন্ন ধরনের ব্যথা উপশম করে।
- খাদ্য হজমে সহায়তা করে।
- চোখের দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে সহায়তা করে।
- পেটে জমে থাকা অতিরিক্ত গ্যাস কমাতে সাহায্য করে।
- সজনে পাতায় প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম থাকায় দেহের হাড় মজবুত করে এবং তাকে সুরক্ষা দেয়।
- সজনে পাতা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
- সজনে পাতায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি যায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এর মত কাজ করে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আমাদের ত্বকে বয়সের ছাপ দ্রুত পড়তে দেয় না।
- সজনে পাতা ত্বকের সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে।
- মূত্রনালীর সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে।
- হজম জনিত সমস্যা দূর করে।
- সজনেপাতা ক্যান্সার নিরাময়ে সাহায্য করে।
- উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে।
- দেহের কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে।
- শরীরের রক্ত বৃদ্ধি করে।
- যন্ত্রণাদায়ক সর্দি ও জ্বর ভালো করতে সাহায্য করে।
- সজনে পাতা কৃমি রোগের মহা ঔষধ।
- মাইগ্রেনের সমস্যা সমাধান করে।
- কাটা বা শরীরের ক্ষত সারাতে সাহায্য করে।
- কিডনিকে সুস্থ রাখে।
- হাঁপানি রোগে বিশেষ কার্যকর। শ্বাসকষ্ট দূর করে।
- ফোড়া সারাতে পারে।
সজনে পাতা খাওয়ার নিয়ম
সজনে পাতা খাওয়ার নিয়ম আমরা অনেকেই জানিনা। সজনে পাতা খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে
আমাদের সবার জানা উচিত। কারণ সজনে পাতায় নানান পুষ্টিগুণে পরিপূর্ণ। সজনা
পাতাকে আপনি বিভিন্নভাবে খেতে পারেন। আপনি যেকোন ভাবে এটাকে খেতে পারেন। তাতে কোন
পুষ্টিগুণ নষ্ট হবে না।
- সজনে পাতাকে শাকের মতো খাওয়া যেতে পারে।
- সাজনা পাতা সিদ্ধ করে ভর্তা খেতে পারেন।
- রোদে শুকিয়ে গুড়া করে তরকারির সঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারেন।
- ব্লেন্ড করে জুস খেতে পারেন। তাছাড়া
- সজনে পাতা চায়ের সঙ্গে খেতে পারেন।
গর্ভাবস্থায় সজনে পাতার উপকারিতা
গর্ভবতী মায়েদের জন্য সজনে পাতা প্রতিদিনের আইরন এবং ক্যালসিয়াম হিসেবে বিবেচনা
করা হয়।গর্ভবতী মায়ের ক্যালসিয়াম ও আইরন এর অভাব মেটাতে সহায়ক এ সজনা পাতা।
তবে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে সজনে পাতার ডাটা থেকে। সজনে পাতার ডাটাতে বিষাক্ত
উপাদান আছে। সজনা পাতা ডাটা থেকে ছড়িয়ে নিয়া আবশ্যক।
আরো পড়ুনঃ
চিয়া সিড এর ২০টি পুষ্টিগুণ
সজনে পাতায় প্রচুর পরিমাণে ফসফরাস বিদ্যমান। যা আমাদের দেহের হাড় মজবুত রাখতে
সাহায্য করে। তাছাড়া সজনে পাতা গর্ভবতী মায়ের হার্ট ভালো রাখে। সজনে পাতা
গর্ভবতী মায়ের রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ রাখে। রক্তস্বল্পতা কমাতে বিশেষ
ভূমিকা রাখে সজনা পাতা। নিরামিষভুজিদের প্রোটিনের চাহিদা মেটাতে পারে সাজনা পাতা।
চুলের যত্নে সজনে পাতা
চুলের যত্নে সজনে পাতার উপকারিতা অনেক।সজনে পাতায় ভিটামিন এ বিদ্যমান থাকায়
স্ক্যাফে রক্ত চলাচল ঠিক রাখে এবং কোষ উৎপাদনে সাহায্য করে।ফলে চুল পড়া অনেকাংশে
কমে যায়।সেই সাথে নতুন চুল গজাতে শুরু করে।সজনে পাতায় ফ্যটি অ্যাসিড বিদ্যমান
থাকায় চুল বৃদ্ধির জন্য খুবই জরুরী।
- সজনে পাতায় ভিটামিন এ,খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বিদ্যমান থাকায় আপনার চুল বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে।
- সজনে পাতায় থাকা অ্যাান্টিঅক্সিডেন্ট, মাথার ত্বক ও চুলের রুক্ষতা থেকে রক্ষা করে।
- সজনে পাতা রুক্ষ চুলের প্রান ফিরিয়ে দেয় এবং চুলকে লম্বা করে।
- চুল পড়ে যাওয়া রোধ করে এবং নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে।
- চুল ভেঙ্গে যাওয়ার সমাধান লুকিয়ে আছে সজনে পাতায়।
চুলের যত্নে সজনে পাতা ব্যবহার
চুলের যত্নে সজনে পাতার ব্যবহার বহুল আলোচিত। নিচে চুলের যত্নে সজনে পাতার
ব্যবহার উল্লেখ করা হলো-
- প্রথমে সজনে পাতা বেটে পেস্ট করে নিন।
- তার সাথে ভেজা মুসুরি ডাল মিক্সড করলে ভালো ফল পাওয়া যায়।
- তার পর মাথার ত্বক সহ পুরো চুলে লাগিয়ে নিন।
- এরপর ১৫-২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। পরে কুসুম গরম পানি দিয়ে চুলগুলো ধুয়ে ফেলুন।
- এরপর শুকনো গামছা কিম্বা তোয়ালে দিয়ে ভেজা চুলগুলো মুছে ফেলুন।
- এইভাবে কয়েকদিন নিয়মিত ব্যবহার করলে, আপনার চুলের পরিবর্তন আপনি নিজেই লক্ষ করবেন।
- এ ছাড়া সজনে পাতা গরম পানিতে ফুটিয়ে কুসুম গরম থাকা অবস্থায় আপনার চুলে স্প্রে করতে পারেন।
- অথবা নারিকেল তেল বা কেস্ট্রোরেল ওয়েল এর সাথে সজনে পাতার পেস্ট পাতলা করে আপনার চুলে লাগিয়ে নিতে পারেন।
সজনে পাতা প্রোটিন ও ক্যালসিয়ামের অভাব পূরণ করে
দুধে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন এ, ভিটামিন সি
ও ভিটামিন ই। আমাদের মাঝে অনেকেই আছে যারা দুধ খেতে পছন্দ করেন না। তারা
অবশ্যই দুধের বিকল্প হিসেবে সজনা পাতা কে বেছে নিতে পারেন। কারণ দুধে যে পরিমাণ
পুষ্টি উপাদান বিদ্যমান, সজনে পাতা এর কম নয়। আমরা দুধের বিকল্প হিসেবে সজনা
পাতা ব্যবহার করতে পারি।
আরো পড়ুনঃ কালোজিরা খাওয়ার উপকারিতা
দুধে ভরপুর ক্যালসিয়াম ও প্রোটিন থাকে। সজনে পাতাও আছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন ও
ক্যালসিয়াম। এখন প্রশ্ন হচ্ছে দুধে যে পরিমাণ পুষ্টি উপাদান থাকে বা শরীরের
ভিটামিনের চাহিদা পূরণ করে। সজনে পাতা সেসব ভিটামিনের চাহিদা পূরণ করবে কি? এটার
জবাবে বলতে পারি জি হ্যাঁ। সজনে পাতা দুধের বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করতে
পারি।
বাজারের ক্রয় করা দুধের চেয়ে সজনে পাতা আমাদের শরীরে ভেজালমুক্ত পুষ্টির চাহিদা
যোগান দিবে। অনেক সময় কেনা দুধে ভেজাল থাকে কিন্তু সজনা পাতা কীটনাশক ছাড়ায়
ভেজার মুক্ত পুষ্টি উপাদানের চাহিদা মিলে। তাই আমরা দুধের চেয়ে সজনে পাতাকে ভালো
মানের পুষ্টি উপাদান বলতে পারি। প্রতিটি স্বাস্থ্য সচেতন মানুষ সজনে পাতা নিয়মিত
ব্যবহার করেন।
সজনে ডাটার বহুমুখী ব্যবহার
সজনে ডাটা বহুমুখী ব্যবহার আমরা অনেকেই জানিনা। আপনি যদি সাজনা ডাটার বহুমুখী
ব্যবহার সম্পর্কে জানতে চান, তাহলে আমার আর্টিকেলটি ধৈর্য সহকারে পড়ুন। সজনে
পাতা, শিকড় সবজি হিসেবে খাওয়া হয়। এছাড়া সজনে গাছের পাতা, বাকল,শুটি,বীজ,কন্দ
এবং ফুলসহ পুরো অংশই খাওয়া যায়।
যুক্তরাষ্ট্রের এক ম্যাগাজিনে সাজনা কে শুষ্ক ও প্রত্যন্ত অঞ্চলের অপুষ্টি
প্রতিরোধে শক্তিশালী হাতিয়ার হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। পর্যবেক্ষণ এবং প্রমাণ
সহকারে সজনে ডাটা, সজনে পাতা, শিকড়, গাছের বাকল, ও ফুলসহ সবগুলোতেই প্রচুর
পরিমাণে পুষ্টি ও ঔষধি গুণ আছে বলে উল্লেখ করেন। সবজির চেয়ে এ পাতার গুনাগুন
অনেক বেশি।
সজনে পাতায় এসিড সহ ৩৮ শতাংশ আমিষ বিদ্যমান। এছাড়াও আছে প্রচুর পরিমাণে আইরন,
পটাশিয়াম, ক্যালসিয়া্ম, ভিটামিন এ ও ভিটামিন সি। সজনে ডাটার বীজে রয়েছে
প্রোটিন এবং ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড। সজনে ডাটা ও সজনেপাতার কার্যকারিতা
কেবল স্বাস্থ্যের জন্য ভালো বললেই মূল্যায়ন করা কম হবে বলে অনেক ম্যাগাজিনে
আলোচনায় এসেছে।
পরিপক্ক সজনে বীজ থেকে উদ্ভিজ্জ তেল পাওয়া যায় যা রান্নার কাজে এবং ঔষধি হিসেবে
ব্যবহার করা হয়। সজনে বীজে থাকা আমিষ ব্যাকটেরিয়াকে আলাদা করে ফেলে।
আর্সেনিকযুক্ত পানিকে সজনে বীজের পাউডার ব্যবহার করে আর্সেনিক মুক্ত করা যায়।
পুষ্টিবিদ সামিয়া তাসনিম এর এক বিবৃতিতে দেখা গেছে, তিনি বলেন সজনে ডাটাতে
প্রচুর পরিমাণে এন্টি অক্সিডেন্ট এবং এমোনিয় এসিড বিদ্যমান থাকায় ত্বকের এবং
চুলের জন্য খুবই উপকারী।
বাংলাদেশে সজনার চাষ
বাংলাদেশের প্রায় সব অঞ্চলের সজিনার চাষ করতে দেখা যায়। ঝজনা চাষ করতে
নির্দিষ্ট কোন জায়গা প্রয়োজন পড়ে না। বাড়ির আশেপাশে পড়ে থাকা
জায়গায়,ঝোপ-জঙ্গলে,রাস্তার ধারে,পুকুরের পাড়ে সজনা গাছ হয়ে থাকে। সজনা গাছ বেড়ে
উঠতে বেশি দিন সময় লাগে না। আমাদের দেশে দুই থেকে তিন প্রকারের সাজনা ডাটা পাওয়া
যায়। বারোমাসি সাজনা প্রায় সারা বছরই ফলন দিয়ে থাকে।
এই গাছে সব সময় ফুল ও কচি শুটি দেখা যায়। বাংলাদেশ কৃষি মন্ত্রণালয়ের
তথ্যমতে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৮ হাজার ৬৭৫ হেক্টর জমিতে ৮৩ হাজার ৩৮১ মেট্রিক টন
সাজনা চাষ করা হয়েছে। এছাড়া ২০২৩--২৪ অর্থবছরে ২ হাজার ৪৭৩ কেজি সজনা বাংলাদেশ
থেকে বিদেশে রপ্তানি করা হয়েছে। বর্তমান বাংলাদেশে খুলনা এলাকায় সজনা আর
বাণিজ্যিক চাষ শুরু করেন।
তাছাড়া সজনা পাতা গুড়া করে উৎপাদিত পাউডার বিদেশে রপ্তানি করার প্রচেষ্টা
করছেন।
সাজনা পাতার অপকারিতা
সাজনা পাতার উপকারিতা সম্পর্কে অনেকেই জানেনা। কোন কিছু অতিরিক্ত সেবন করা ভালো
নয়। তাই সজনে পাতার ক্ষেত্রেও ব্যতিক্রম নয়। সজনে পাতা গুড়া নিয়মিত না
খেয়ে বিরতি দিয়ে খাওয়ায় ভালো। সজনে পাতার অনেক উপকারিতা থাকলেও এটি অতিরক্ত
খাবারের ফলে সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। অতিরিক্ত সাজনা পাতা খাবারের ফলে বমি বমি
ভাব সৃষ্টি হতে পারে।
এছাড়া পেটের সমস্যা এবং ক্ষুধামন্দা দেখা দিতে পারে। ব্লাড প্রেসারের রোগী
ঔষধের পাশাপাশি যদি সজনেপাতা গুড়া খেয়ে থাকেন তাহলে ব্লাড প্রেসার কমে যেতে
পারে। সজনে পাতার সঙ্গে লেগে থাকা ডালাগুলো আমাদের দেহের জন্য ক্ষতিকর। পাতা
খাবারের সময় ডালাগুলোকে ফেলে দিতে হবে। একজন গর্ভবতী মা গর্ভ অবস্থায় সজনা
পাতা খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন।
সজনে পাতার সঙ্গে থাকা ডালাগুলোতে বিষাক্ত উপাদান থাকে। যা গর্ভবতী মায়ের জন্য
ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে। ডায়াবেটিস রোগীরা মনে করেন যে সজনে পাতা খেলে
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আসবে। বিষয়টি ঠিক তেমন না। ডায়াবেটিস রোগীরা ঔষধের
পাশাপাশি সাজনা পাতার জুস খেলে উপকার পাবে। এজন্য শুধু সজনে পাতাকে প্রতিষেধক
হিসেবে বিবেচনা করবেন না।
সজনে পাতার উপকারিতা নিয়ে লেখকের শেষ মন্তব্য
সজনে পাতার উপকারিতা আলোচনা করতে গিয়ে সজনে পাতার অপকারিতা পুষ্টিগুণ ও
ঔষধি গুনসহ বিভিন্ন প্রকার ব্যবহার আলোচনা করা হয়েছে। আপনি যদি আমার
আর্টিকেলটি ধৈর্য সহকারে পুরোপুরি পড়ে থাকেন। তাহলে সজনে পাতা থেকে শিকড়
পর্যন্ত গাছের সবকিছু উপাদান সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।
আমি আমার আর্টিকেলে সাধ্য অনুযায়ী সজনে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আপনি
যদি আমার আর্টিকেল পড়ে উপকৃত হয়ে থাকেন, তাহলে নিয়মিত আমার ওয়েবসাইটটি ফলো
করবেন। এ ধরনের তথ্যবহুল আর্টিকেল আমি নিয়মিত আপলোড করে থাকি। আমার লেখায় যদি
কোন ভুল হয়ে থাকে এবং আমি যদি আমার লেখার মাধ্যমে আপনাদের কোন কষ্ট দিয়ে থাকি
তবে আমাকে নিজ গুনে ক্ষমা করে দিবেন। এতক্ষণে সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url